মরণোওর অঙ্গদানে এগিয়ে আসুন


১৩ আগস্ট বিশ্ব অঙ্গদান দিবস,দিনটি পালন করা হয় মরণোওর অঙ্গদানে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য।একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার অঙ্গ কোনো কাজেই লাগে না,কিন্তু একজন মৃত মানুষের অঙ্গ অন্য একজন মানুষ যায় বিভিন্ন কারণে যেমন-কিডনি অকেজো তার দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়।এভাবে একজন দাতা ৮ জনের উপর মানুষের জীবন বাচাঁতে পারেন।

মরণোওর অঙ্গদান নিয়ে আমাদের দেশে অনেকেই কিছু জানি না।আবার অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা ও আছে এই বিষয়ে।চলুন আজকে জেনে নিই মরণোওর অঙ্গদান কি?এবং এটি কেন জরুরি আমাদের জন্য।

প্রতিবছর হাজারো মানুষের "ব্রেন ডেথ"বা "মস্তিষ্কের মৃত্যু "হয়।এই সমস্ত মৃত মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ (হার্ট,কিডনি,চোখ,তক্ব,লিভার ও নরম কলা বা সফট টিস্যু )প্রতিস্থাপনযোগ‍্য ও অন্য মানুষের প্রয়োজন ও বটে।কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অঙ্গ -প্রত‍্যঙ্গ প্রতিস্থাপের জন্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না যায় মূল  কারণ মৃত ব‍্যক্তির পরিবারের আপওি।তাদের আপওির কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্মীয় ভাবাবেগ।কিন্তু আমরা প্রচলিত যে কোনো ধর্ম (হিন্দু,ইসলাম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান)সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখি না কেন,কোনো ধর্মেই অঙ্গদানের ক্ষেএে বাধা হিসেবে কোনো নিয়ম নেই।

পশ্চিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মরণোওর অঙ্গদানে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।এক্ষেএে স্পেন গোটা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত অঙ্গদানে বিশ্বের মধ্যে প্রথম (প্রতি ১০ লক্ষে ৩৫ জন)।তাছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও চীন মরণোওর অঙ্গদানে অগ্রসর হচ্ছে দিন দিন।বলিউডের অনেক বিশিষ্ট অভিনেতা - অভিনেত্রী মরণোওর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে ও মরণোওর অঙ্গদানে আইন প্রণোয়ন করা হয়।

বহুদিন ধরেই বাংলাদেশে অঙ্গ অবৈধভাবে কেনাবেচা চক্র সক্রিয়।বিপুল টাকা অবৈধভাবে লেনদেন হয়।প্রয়োজনের সময় অনেকে টাকার অভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করে।তাই মরণোওর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সংখ্যা বাড়ালে ক্রমশ কমবে অঙ্গ পাচার চক্রের দৌরাত্ম্য।

পরিশেষে আমি এটাই বলব যে,আমাদের পরিবর্তনশীল দৃষ্টিভঙ্গিই পারে মরণোওর অঙ্গদানে মানুষদের আগ্রহী করে তুলতে।

Comments

Popular posts from this blog

সফেদা বা (Sapodilla)ফলের গুনাগুন।

গর্ভাবস্থায় যোগ ব‍্যায়াম(yoga) এর উপকারিতা।