গর্ভাবস্থায় যোগ ব্যায়াম(yoga) এর উপকারিতা।
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক ও সুস্থ বিকাশের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ, পরিমিত বিশ্রামের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামের প্রয়োজনও আছে।তবে যে কোনো ব্যায়াম করার আগে চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিয়ে নিলে ভালো হবে।
গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব অনেক।কারণ,এ সময় মায়ের অসুস্থতা ও মানসিক অবসাধ সরাসরি গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলে।প্রফুল্ল থাকা মায়ের ভ্রণ যেভাবে বর্ধিত হয়,বিষন্ন মায়ের ভ্রণ তেমনটি হয় না।
গর্ভাবস্থায় তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থার জন্য যোগ ব্যায়াম(yoga) করা উচিত।এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য কাজ করে।তাছাড়া এটি স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ।গর্ভকালীন সময়ে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া শারীরিক পরিবর্তন,হরমোন এর তারতম্য সহ বিভিন্ন কারণে অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের মন খারাপ থাকে।মন ভালো রাখার জন্য ধ্যান ও প্রাণায়ামের বিকল্প হয় না।
এছাড়াও অল্প হাঁটাহাঁটি প্রতিদিন ২০ - ৩০মিনিট করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের সচলতা বজায় থাকে।ঘরের হালকা কাজ করা যাবে তবে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন।এতে করে সময় ও কাটবে এবং শরীর সচল ও থাকবে।তবে পেটে চাপ লাগে এমন কোনো ব্যায়াম করা উচিত নয়।নিশ্বাসের ব্যায়াম খুবই উপকারী।যা গর্ভের শিশুর জন্য ও মায়ের হার্টর জন্য ভালো এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
প্রাণায়াম এক্ষেএে খুবই মানানসই।সুখ আসনে বসে নিশ্বাস নিতে নিতে দুই হাতের তালু মাথার উপর তুলে একসঙ্গে করবেন,এবার চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিবেন এবং ছাড়বেন।তিনবার করে করতে পারেন,১০ সেকেন্ড রেখে নিশ্বাস ছেড়ে দিন।
এছাড়াও শ্যালো ব্রিদিং,স্টোমাক ব্রিদিং,চেস্ট ব্রিদিং,অল্টারনেটিভ ব্রিদিং,উজাই ব্রিদিং ও গর্ভবতী মা এবং শিশুর সুস্থতার জন্য কার্যকরি এবং খুব সহজে করা যায়।এই ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করলে স্ট্রেসের মাএা কমতে সাহায্য করে ও প্রসবের সময় শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পায় এবং মায়ের সাথে সহযোগিতা করতে পারে।তাই এগুলো নিয়মিত চর্চা করতে হবে।
তাছাড়া বৃক্ষাসন,বীর ভদ্রাসন,পার্শ্ব-জানুশিরাসন,অর্ধ উষ্ঠাসন ও গর্ভাবস্থায় খুবই উপকারী ও নিরাপদ যোগ ব্যায়াম,এগুলো করতে পারেন।
যে সকল মহিলারা নরমাল ডেলিভারি করাতে আগ্রহী তাদের জন্য যোগ ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই।এতে শ্রোণী অঞ্চলের ও উরুর পেশীর শক্তি বাড়ে।স্বাভাবিক প্রসব ত্বরান্বিত করে।এক্ষেএে উপকারি কয়েকটি যোগ ব্যায়ামের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলো -
(পেলভিক ফ্লোর)-এটি খুবই উপকারি, মিসক্যারেজের ঝুঁকি কমাতে এবং প্রসবের পর জরায়ুর পেশীর স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(পেলভিক টিল্টস)-এই ব্যায়াম পেলভিক পেশী শক্তিশালী করে ও প্রসব শ্রমের জন্য তাদের প্রাক প্রস্তুত রাখে এবং পিঠের ব্যথা উপশম করতে ও সাহায্য করে।
(স্কোয়াটিং)-এটি বাচ্চাকে প্রসবের জন্য সঠিক অবস্থানে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
(ব্যায়ামের বল)-এটি প্রসব শ্রম উৎসাহিত করার জন্য ভালো অনুশীলন এবং বাচ্চার অবস্থানকে সঠিক রাখতে সহায়তা করে।
(কেগেল ব্যায়াম)-এই ব্যায়ামটি পেলভিস বা শ্রোণী তলের পেশী সক্রিয় করে ও তাদের উপর ভাল নিয়ন্ত্রণ অর্জন করতে এবং প্রসব শ্রমের পর্যায়ে সাহায্য করতে পারে।
(বাটারফ্লাই পোজ)-গর্ভাবস্থার শুরু থেকে এই ব্যায়ামটি প্রসবের সময় পযর্ন্ত করা যেতে পারে।এই ব্যায়ামটি শ্রোণী খুলে দেয় এবং পিঠ ও উরু সহ আশেপাশের পেশীগুলোতে নমনীয়তা এবং শক্তি তৈরি করে।
গর্ভবস্থায় সাধারণত একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে স্বাভাবিক ভাবে দূর্বলতা,ব্যথা ও বিষন্নতা কাজ করে।এগুলো দূর করতে যোগ ব্যায়াম সাহায্য করবে।তবে শরীর যতটুকু নিতে পারে ততটুকু ব্যায়াম করা উচিত,বাড়তি চাপ নেওয়া যাবে না।পূর্বে গর্ভপাত হলে বা শারীরিক কোনো জটিলতা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করতে হবে।সঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম না করলে আপনার ও আপনার গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
Thank you... carry on
ReplyDeleteWelcome dear😊
Delete