Posts

ভবিষ্যতে আমরা পানি পান করব না,বরং পানি খাব!!!

Image
   পৃথিবীর সকল জায়গার মানুষেরা প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করে।কিন্তু আসলে এভাবে প্লাস্টিকের বোতলে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং  বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাছাড়া এসব প্লাস্টিকজাতীয় বর্জ‍্য পরিবেশক দূষিত করছে।প্রতিবছর প্রায় ৩৫ বিলিয়ন প্লাস্টিকের বোতল পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরে পৌঁছে সাগরের বাস্তুসংস্থান নষ্ট করছে। তাই বিজ্ঞানীরা প্লাস্টিকের বোতলের বিকল্প হিসেবে একধরনের সামুদ্রিক শৈবাল দ্বারা ছোট ছোট পানির বল আবিষ্কার করেছেন।২০১৪ সালে লন্ডনের ছাএদের একটি গ্রুপ এটি তৈরি করেছিল।পরে স্টার্ট আপ কোম্পানি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনে এর বৈশিষ্ট্য উন্নত করতে শুরু করে। এটি দেখতে জেলটিনাস গোলকের মতো।তাছাড়া এটি পানির মতো স্বাদহীন।তবে ভবিষ্যতে এতে রং ও বিভিন্ন প্রকারের স্বাদ যোগ করা যেতে পারে।এটি আমাদের সঠিক পরিমাণে হাইড্রেটেড করতে পারবে যেমনটি করে একটি সম্পূর্ণ পানির বোতল।মুখে দিলেই এটি পানি হয়ে যায় এবং তৃষ্ণা মেটাবে।এর নাম দেওয়া হয়েছে 'ওহো ক‍্যাপ'(Ooho Cap)। ওহো ক‍্যাপ এর ব‍্যবহার করা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং এর উপাদান প্লাস্টিকের চেয়েও সস্তা।

"আজ বিশ্ব মশা দিবস "

Image
প্রতিবছর ২০ আগষ্ট পালিত হয় "বিশ্ব মশা দিবস "।অনেকে মশা দিবস শোনে হয়ত ভাবছেন মশা দিবস কেন পালন করা হয়ে থাকে?আসুন তবে জেনে নেই এর পেছনের ইতিহাস। ব্রিটিশ চিকিৎসক স‍্যার রোনাল্ড রস ১৮৯৭ সালে আবিস্কার করেন,স্ত্রী অ‍্যানোফিলিস মশার মাধ্যমে ম‍্যালেরিয়া রোগ ছড়ায়।তার এ আবিষ্কারকে স্মরণ করতে কিছুদিন পর থেকেই ২০ আগষ্ট বিশ্ব মশা দিবস পালন করা হয়।আর এ আবিষ্কারের জন্য রোনাল্ড রসকে ১৯০২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। মশা (Nematocera) মাছি বর্গের এবং (Culicidae)পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রাণী।বাংলাদেশে রয়েছে ১১৪ প্রজাতির মশা।তবে সব মশা মানুষদের কামড়ায় না।স্ত্রী কিউলেক্স,স্ত্রী অ‍্যানোফিলিস ও এডিস মশায় বেশি কামড়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগ ছড়ায়,যেমন:-ম‍্যালেরিয়া,ডেঙ্গু,চিকেনগুনিয়া পীতজ্বর ইত্যাদি।তাছাড়া মশা মারাত্মক কিছু ভাইরাস ও ছড়ায়,যেমন:- ওয়েস্ট নাইল জিকার ওয়ার্ম ও প‍্যারাসাইট। ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়,এ পযর্ন্ত প্রাণীর আক্রমণে বিশ্বের যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার অর্ধেকেরই হয়েছে মশার কারণে।বিশ্বের দুই লাখ বছরের ইতিহাসে মশার কারণে প্রায় ৫২ বিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা ডাক্তার :-ডাঃ কাদম্বিনী গাঙ্গুলি।

Image
 ডাক্তার কাদম্বিনী গাঙ্গুলি হলেন ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা ডাক্তার।যিনি রক্ষণশীল সমাজ ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা পেছনে ফেলে নিজের স্বপ্ন পূর্ণ করেন এবং রেখে যান পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের জন্য দৃষ্টান্ত মূলক উদাহরণ। 

আজ প্রথমবার পালিত হচ্ছে "বিশ্ব পানিতে ডুবে ম‍ৃত‍্যু প্রতিরোধ দিবস "

Image
  পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক ঐতিহাসিক এক রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।রেজুলেশনটিতে পানিতে ডুবে মৃত্যু কে একটি "নীরব মহামারী"হিসেবে স্বীক‍ৃতি দেওয়া হয়েছে।জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এটিই এধরনের প্রথম রেজুলেশন।২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নীরব এই বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্ল‍্যাটফর্মে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছিল।অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ শে জুলাই কে "বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস" হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী,বিশ্বে প্রতিবছর  ২ লাখ ৩৫ হাজার জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়।বিশ্বজুড়ে ১ দশকে মারা যায় ২৫ লাখ জন মানুষ পানিতে ডুবে।এর মধ্যে বেশিরভাগ ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮ হাজার জন মানুষ পানিতে ডুবে ম‍ৃত‍্যুবরণ করছে। সারাবছর প্রায় প্রতিদিন টিভি বা খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় মানুষ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে।এক্ষেএে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।তবে বর্ষাকালে (জুন থেকে অক্টোবর )পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হয়।বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম

কালো জিরা বা (Black Cumin)-এর উপকারিতা।

Image
  কালোজিরা বা (Black Cumin), বৈজ্ঞানিক নাম :-(Nigella Sativa Linn)।এটি তিন-কোনা আক‍ৃতির কালো রং এর বীজ।কালোজিরা আয়ুর্বেদীয়,ইউনানী সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব‍্যবহার করা হয়।এর মশলা হিসাবেও ব‍্যাপক ব‍্যবহার হয়ে থাকে,এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান।কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়,যা সৌন্দর্য চর্চায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আজকে আমি কালোজিরার উপকারিতা এবং এটি কখন খাওয়া ঠিক নয় তা নিয়ে আলোচনা করব-

সফেদা বা (Sapodilla)ফলের গুনাগুন।

Image
 সফেদা বা "সবেদা" ইংরেজি :Sapodilla,বৈজ্ঞানিক নাম:(Manilkara Zopota) এক প্রকার মিষ্টি ফল।সফেদা গরম কালের ফল।তবে ফলটি সারা দেশে পাওয়া গেলেও এটি আমাদের দেশী ফল নয়।এই ফলের উৎপত্তি স্থান হচ্ছে মেক্সিকোর  দক্ষিণাংশ,মধ‍্য আমেরিকা এবং ক‍্যারাবীয় অঞ্চলে।আমাদের প্বার্শবর্তী দেশ ভারতেও সফেদার চাষ হয়,সেখানে এটি "চিক্কু" নামে পরিচিত।সফেদা শুধু স্বাদ ও গন্ধের জন্য পরিচিত নয় এতে রয়েছে অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান।তাই আজকে এই বহুমুখী গুণ সমৃদ্ধ ফলটির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক- প্রতিটি সফেদায় শক্তি আছে ৮৩ কিলোক্যালরি,কার্বোহাইড্রেট ১৯.৯ গ্রাম,ডায়াটরি ফাইবার ৫.৩।রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।এতে আরো আছে মিনারেল,অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ট‍্যানিন এবং পলিফেনলিক যৌগ যা আমাদের দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ভেষজ গুণ:- (১)সফেদায় ভিটামিন "এ",ক‍্যালসিয়াম,আয়রণ ও ফসফরাস আছে যা চোখ,ত্বক ও হাড়ের জন্য খুবই উপকারি।এটি হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়। (২)এই ফলের শরবত জ্বর নাশক হিসাবে কাজ করে। (৩)এতে রয়েছে ভিটামিন "সি" যা সর্দি,কাশি  উপশম করতে সা

গর্ভাবস্থায় যোগ ব‍্যায়াম(yoga) এর উপকারিতা।

Image
 একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক ও সুস্থ বিকাশের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ, পরিমিত বিশ্রামের পাশাপাশি শারীরিক ব‍্যায়ামের প্রয়োজনও আছে।তবে যে কোনো ব‍্যায়াম করার আগে চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিয়ে নিলে ভালো হবে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব অনেক।কারণ,এ সময় মায়ের অসুস্থতা ও মানসিক অবসাধ সরাসরি গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলে।প্রফুল্ল থাকা মায়ের ভ্রণ যেভাবে বর্ধিত হয়,বিষন্ন মায়ের ভ্রণ তেমনটি হয় না। গর্ভাবস্থায় তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থার জন্য যোগ ব‍্যায়াম(yoga) করা উচিত।এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য কাজ করে।তাছাড়া এটি স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ।গর্ভকালীন সময়ে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া শারীরিক পরিবর্তন,হরমোন এর তারতম্য সহ বিভিন্ন কারণে অনেক  সময় গর্ভবতী মায়ের মন খারাপ থাকে।মন ভালো রাখার জন্য ধ‍্যান ও প্রাণায়ামের বিকল্প হয় না। এছাড়াও অল্প হাঁটাহাঁটি প্রতিদিন ২০ - ৩০মিনিট করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের সচলতা বজায় থাকে।ঘরের হালকা কাজ করা যাবে তবে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন।এতে করে সময় ও কাটবে এবং শরীর সচল ও থাকবে।তবে পেটে চাপ লাগে এমন কোনো ব‍্যায়াম করা উচিত নয়।নিশ্বাসের ব‍্যায়াম খুবই