Posts

Showing posts from July, 2021

আজ প্রথমবার পালিত হচ্ছে "বিশ্ব পানিতে ডুবে ম‍ৃত‍্যু প্রতিরোধ দিবস "

Image
  পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ বিষয়ক ঐতিহাসিক এক রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।রেজুলেশনটিতে পানিতে ডুবে মৃত্যু কে একটি "নীরব মহামারী"হিসেবে স্বীক‍ৃতি দেওয়া হয়েছে।জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এটিই এধরনের প্রথম রেজুলেশন।২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নীরব এই বৈশ্বিক মহামারীর বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্ল‍্যাটফর্মে নিয়ে আসতে কাজ করে যাচ্ছিল।অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর বাংলাদেশের প্রস্তাবে ২৫ শে জুলাই কে "বিশ্ব পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস" হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী,বিশ্বে প্রতিবছর  ২ লাখ ৩৫ হাজার জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়।বিশ্বজুড়ে ১ দশকে মারা যায় ২৫ লাখ জন মানুষ পানিতে ডুবে।এর মধ্যে বেশিরভাগ ৫ বছরের কম বয়সী শিশু।প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ১৮ হাজার জন মানুষ পানিতে ডুবে ম‍ৃত‍্যুবরণ করছে। সারাবছর প্রায় প্রতিদিন টিভি বা খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় মানুষ পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে।এক্ষেএে শিশুদের সংখ্যাই বেশি।তবে বর্ষাকালে (জুন থেকে অক্টোবর )পানিতে ডুবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি হয়।বাংলাদেশে কুড়িগ্রাম

কালো জিরা বা (Black Cumin)-এর উপকারিতা।

Image
  কালোজিরা বা (Black Cumin), বৈজ্ঞানিক নাম :-(Nigella Sativa Linn)।এটি তিন-কোনা আক‍ৃতির কালো রং এর বীজ।কালোজিরা আয়ুর্বেদীয়,ইউনানী সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় ব‍্যবহার করা হয়।এর মশলা হিসাবেও ব‍্যাপক ব‍্যবহার হয়ে থাকে,এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান।কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়,যা সৌন্দর্য চর্চায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।আজকে আমি কালোজিরার উপকারিতা এবং এটি কখন খাওয়া ঠিক নয় তা নিয়ে আলোচনা করব-

সফেদা বা (Sapodilla)ফলের গুনাগুন।

Image
 সফেদা বা "সবেদা" ইংরেজি :Sapodilla,বৈজ্ঞানিক নাম:(Manilkara Zopota) এক প্রকার মিষ্টি ফল।সফেদা গরম কালের ফল।তবে ফলটি সারা দেশে পাওয়া গেলেও এটি আমাদের দেশী ফল নয়।এই ফলের উৎপত্তি স্থান হচ্ছে মেক্সিকোর  দক্ষিণাংশ,মধ‍্য আমেরিকা এবং ক‍্যারাবীয় অঞ্চলে।আমাদের প্বার্শবর্তী দেশ ভারতেও সফেদার চাষ হয়,সেখানে এটি "চিক্কু" নামে পরিচিত।সফেদা শুধু স্বাদ ও গন্ধের জন্য পরিচিত নয় এতে রয়েছে অনেক রকমের পুষ্টি উপাদান।তাই আজকে এই বহুমুখী গুণ সমৃদ্ধ ফলটির উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক- প্রতিটি সফেদায় শক্তি আছে ৮৩ কিলোক্যালরি,কার্বোহাইড্রেট ১৯.৯ গ্রাম,ডায়াটরি ফাইবার ৫.৩।রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।এতে আরো আছে মিনারেল,অ‍্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ট‍্যানিন এবং পলিফেনলিক যৌগ যা আমাদের দেহকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। ভেষজ গুণ:- (১)সফেদায় ভিটামিন "এ",ক‍্যালসিয়াম,আয়রণ ও ফসফরাস আছে যা চোখ,ত্বক ও হাড়ের জন্য খুবই উপকারি।এটি হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়। (২)এই ফলের শরবত জ্বর নাশক হিসাবে কাজ করে। (৩)এতে রয়েছে ভিটামিন "সি" যা সর্দি,কাশি  উপশম করতে সা

গর্ভাবস্থায় যোগ ব‍্যায়াম(yoga) এর উপকারিতা।

Image
 একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভের শিশুর স্বাভাবিক ও সুস্থ বিকাশের জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ, পরিমিত বিশ্রামের পাশাপাশি শারীরিক ব‍্যায়ামের প্রয়োজনও আছে।তবে যে কোনো ব‍্যায়াম করার আগে চিকিৎসকেরা পরামর্শ নিয়ে নিলে ভালো হবে। গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার গুরুত্ব অনেক।কারণ,এ সময় মায়ের অসুস্থতা ও মানসিক অবসাধ সরাসরি গর্ভের শিশুর উপর প্রভাব ফেলে।প্রফুল্ল থাকা মায়ের ভ্রণ যেভাবে বর্ধিত হয়,বিষন্ন মায়ের ভ্রণ তেমনটি হয় না। গর্ভাবস্থায় তাই শারীরিক ও মানসিক সুস্থার জন্য যোগ ব‍্যায়াম(yoga) করা উচিত।এটি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য কাজ করে।তাছাড়া এটি স্বাস্থ্য সম্মত ও নিরাপদ।গর্ভকালীন সময়ে হঠাৎ করে ঘটে যাওয়া শারীরিক পরিবর্তন,হরমোন এর তারতম্য সহ বিভিন্ন কারণে অনেক  সময় গর্ভবতী মায়ের মন খারাপ থাকে।মন ভালো রাখার জন্য ধ‍্যান ও প্রাণায়ামের বিকল্প হয় না। এছাড়াও অল্প হাঁটাহাঁটি প্রতিদিন ২০ - ৩০মিনিট করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের সচলতা বজায় থাকে।ঘরের হালকা কাজ করা যাবে তবে ভারি কাজ এড়িয়ে চলুন।এতে করে সময় ও কাটবে এবং শরীর সচল ও থাকবে।তবে পেটে চাপ লাগে এমন কোনো ব‍্যায়াম করা উচিত নয়।নিশ্বাসের ব‍্যায়াম খুবই

মরণোওর অঙ্গদানে এগিয়ে আসুন

Image
১৩ আগস্ট বিশ্ব অঙ্গদান দিবস,দিনটি পালন করা হয় মরণোওর অঙ্গদানে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য।একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার অঙ্গ কোনো কাজেই লাগে না,কিন্তু একজন মৃত মানুষের অঙ্গ অন্য একজন মানুষ যায় বিভিন্ন কারণে যেমন-কিডনি অকেজো তার দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা যায়।এভাবে একজন দাতা ৮ জনের উপর মানুষের জীবন বাচাঁতে পারেন। মরণোওর অঙ্গদান নিয়ে আমাদের দেশে অনেকেই কিছু জানি না।আবার অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা ও আছে এই বিষয়ে।চলুন আজকে জেনে নিই মরণোওর অঙ্গদান কি?এবং এটি কেন জরুরি আমাদের জন্য। প্রতিবছর হাজারো মানুষের "ব্রেন ডেথ"বা "মস্তিষ্কের মৃত্যু "হয়।এই সমস্ত মৃত মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ (হার্ট,কিডনি,চোখ,তক্ব,লিভার ও নরম কলা বা সফট টিস্যু )প্রতিস্থাপনযোগ‍্য ও অন্য মানুষের প্রয়োজন ও বটে।কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই অঙ্গ -প্রত‍্যঙ্গ প্রতিস্থাপের জন্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না যায় মূল  কারণ মৃত ব‍্যক্তির পরিবারের আপওি।তাদের আপওির কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ধর্মীয় ভাবাবেগ।কিন্তু আমরা প্রচলিত যে কোনো ধর্ম (হিন্দু,ইসলাম,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান)সঠিকভাবে পর্যালোচনা করে দেখি না কেন,কোনো ধর্মেই অঙ্গ

কোভিড ভ‍্যাকসিন নিলে নাকি মানুষ মারা যায়!!!

Image
 বর্তমানে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন‍্যায় বাংলাদেশের মানুষদের ও কোভিড ভ‍্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।তবে এখন ও ভ‍্যাকসিনকে নিয়ে সাধারণ মানুষদের মনে বিভিন্ন ভয়-ভীতি কাজ করছে।এই ভ‍্যাকসিন নিলে নাকি মানুষ মারা যায়। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে যখন প্রথম ভ‍্যাকসিন দেওয়া হয়,তখন একজন নার্স মারা যান ভ‍্যাকসিন নেওয়ার পরপরই।এ নিয়ে তখন ভারতে চলে বিভিন্ন আলোচনা -সমালোচনা।অনেকে তো ভয়ে ভ‍্যাকসিন নিতেই চাইলেন না।আসলে ঐ নার্সের মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট অ‍্যাটাক।কিন্তু অনেকে তা সঠিকভাবে না জেনেই ভুল সিধান্ত নেন। এবার আসুন জেনে নেই ভ‍্যাকসিন কি?কিভাবে তৈরি  করা  হয়?এবং কোভিড ভ‍্যাকসিন কি সত্যিই মানুষের জন‍্য ক্ষতিকর নাকি উপকারি। ভ‍্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে অণুজীবের,বিশেষ করে ব‍্যাকট‍েরিয়া ও ভাইরাস - এর সংক্রমণ প্রতিরোধের উপায়কে "ভ‍্যাকসিনেশন" বলে।প্রক্রিয়াটি সাধারণভাবে "টিকা "দেওয়া নামে পরিচিত।নির্দিষ্ট রোগের ভ‍্যাকসিন নির্দিষ্ট জীবাণু থেকেই সংগ্রহ ও উৎপন্ন করা হলেও প্রক্রিয়াগত কারণে এ পদার্থ মানবদেহে কোনো  পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা রোগ সৃষ্টির পরিবর্তে দেহকে রোগমুক্ত রাখতে,রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য